ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় এক প্রভাষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
রোববার দুপুরে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত বুধবার থেকে একই দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসতেছে ছাত্ররা।
গত মঙ্গলবার বিকালে একটি জন্ম সনদের আবেদনে সত্যায়িত করার অপরাধে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের এক প্রভাষককে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন। এর প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বুধবার থেকে ইউএনওর অপসারণ দাবি করে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের তৃতীয় দিন ছাত্রদের সাথে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষকরাও।
রোববার সকাল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি ও কলেজ শিক্ষক সমিতি ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একত্রিত হন। একটি বিশাল মিছিল উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পরিষদ চত্তরে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.ইউছুফ, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস, এসএম মোজাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইমরান হোসেন হাতিয়া আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের সাথে অশোভন আচরণ করে আসছেন। এর মধ্যে বাদ পড়েনি শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও আবাসিক হোটেল বয়ও। তাঁর এই অশোভন আচরণে শুধু শিক্ষক সমাজ নয়, হাতিয়ার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আজ ক্ষুদ্ধ। তাঁর এই আচারণের জন্য তাকে অপসারণও বিচার দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। ইউএনওকে অপসারণ না করলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান তারা।