স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বে শেষ দুই ম্যাচে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই চট্টগ্রাম এসেছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু চট্টগ্রামে তাদের শুরুটা হার দিয়ে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের দুই ম্যাচেই টানা জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলটি। এই দু’টি জয়ই এসেছে ব্যাটসম্যান মাশরাফির কল্যাণে।
শনিবার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে ১৭ বলে ৪২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার সেই ইনিংসই দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। মঙ্গলবার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ১০ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইলের চেয়েও মারকুটে ছিলেন মাশরাফি। তবে সেটা প্রধান কোচ কোচ টম মুডির পরিকল্পনাতেই!
সিলেটের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পরও চিটাগংয়ের বিপক্ষে মাশরাফির সেই ক্যামিও ইনিংসের রেশ এখনও কাটেনি। তাই মঙ্গলবারের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল ইসলাম অপুর কাছেও জানতে চাওয়া হয় আগের ম্যাচে মাশরাফির ব্যাটিং নিয়ে। মাশরাফির ব্যাটিং নিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার জানান, কোচ চেয়েছিলেন বলেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন মাশরাফি।
এ প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘মাশরাফি ভাই একটা পরিকল্পনা নিয়ে খেলেন। মাশরাফি ভাই এখন ভাল টাচে আছেন। তার ব্যাটিংও ভাল হচ্ছে। গেল ম্যাচেই তো ক্রিস গেইল উইকেটে থাকার পরও কোচ মাশরাফি ভাইকেই অ্যাটাক করতে বলেছিলেন। তিনি বলে দিয়েছিলেন যতক্ষণ মাশরাফি ভাই উইকেটে থাকবেন ততক্ষণ তিনিই অ্যাটাক করবেন। ক্রিস গেইল স্ট্রাইক নেবে না, মাশরাফি ভাইকে স্ট্রাইক দেবে।’
কোচের এমন পরিকল্পনার রহস্যটাও অবশ্য জানিয়েছেন সিলেটে বিপক্ষে ১৮ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনার। বলেন, ‘ক্রিস গেইল উইকেটে থাকলে বিপক্ষের প্রতিটি বোলারই চাপে থাকেন। তারা চিন্তায় থাকেন কখন কি হবে, কখন কি হতে পারে। তাই ক্রিস গেইল উইকেটে থাকুক আর মাশরাফি ভাই অ্যাটাকিং হয়ে খেলুক সেটাই চেয়েছিলেন কোচ।’