ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী থেকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আবদুল করিম (৫০) দাবি করেছেন। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম ওসমান গনি মঞ্জু। গত ১৫ জুন সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মঞ্জু নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রফিকপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
রোববার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী মো. আবদুল করিম এ অভিযোগ করেন। গত ১৩ দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। এঘটনায় গত ১৬ জুন ওই ব্যবসায়ী বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আবদুল করিম বলেন, তিনি একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও ব্যবসায়ী। মাইজদী শহরে তাঁর কলকাতা বাজার ও টার্গেট নামের দুটি পোশাক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে ওসমান গনি মঞ্জুকে তিনি নিয়োগ দেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনন্দিন বিক্রির টাকা ও ভারত, থাইল্যান্ড এবং চীন থেকে এলসির মাধ্যমে পোশাক ও কাপড় কেনার টাকা পয়সার লেনদেন মঞ্জুর মাধ্যমে করা হয়। সে প্রায় ৬-৭ বছর যাবৎ তার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছেন। গত ১৫ জুন সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ওসমান গনি মঞ্জুকে সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখায় ৩৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। মঞ্জু কৌশলে ওই টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
আবদুল করিম বলেন, মঞ্জু দোকান থেকে যে টাকা নিয়ে পালিয়েছে তার প্রমাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত আছে।
এঘটনায় মো. আবদুল করিম ১৬ জুন ওসমান গনি মঞ্জুর বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৮। পালিয়ে যাওয়ার ব্যক্তির সন্ধান দাতাকে ২ লাখ টাকা পুরুষ্কার প্রদানেরও ঘোষনা দেন তিনি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আবদুল করিম বাদী হয়ে গত ১৬ জুন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করছে। খুব শীঘ্রই পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তিনি দাবি করেন।

- প্রচ্ছদ
- জাতীয়
- নোয়াখালী
-
Featured
-
Featured
-
Featured
-
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী
- মতামত
- আরও
Select Page