Select Page

আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি সময়: দুপুর ২:০২

নোয়াখালীতে লকডাউনে পশুরহাট, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

ষ্টাফ রিপোর্টার : চলমান লকডাউনের মধ্যে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে বসছে পশুরহাট। এসব পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রতার উপস্থিতিতে চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও এক শ্রেণীর মুনাফাভোগী ইজারাদার মানছেন না সরকারি বিধি-নিষেধ।

পশুরহাটে শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ত্রেতা-বিক্রেতা। গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে পিকআপে তুলছেন। উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই পশুহাটে। সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই বাজার পরিচালনা করছেন ইজারাদাররা।

শুক্রবার সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার ও এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা বাজারে পশুহাটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার সর্ববৃহৎ পশুরহাট দত্তেরহাট বাজারের ইজারাদার আবদুল মমিন বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত লকডাউনে গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে দত্তেরহাটে পশু বেচাকেনা বন্ধ করে দেওয়া হলেও নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় পশুরহাট বসিয়ে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। শুধু দত্তেরহাট কেন, বন্ধ হলে সব বাজারই বন্ধ করা উচিৎ।

শুধু দত্তেরহাট বন্ধ করে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে পশু কোরবানি, খামারি ও ইজারাদারদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল পশুরহাটই খুলে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন এই ইজারাদার।
বাংলা বাজারে গরু কিনতে আসা গিয়াস উদ্দিন মঞ্জু বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। কেউ তো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এমন কি মুখে মাস্কও ব্যবহার করছে না। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কিছুু বলছে না।

গরু বিক্রেতা মাইজচরা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহের উদ্দিন বলেন, কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সীমান্তবর্তী গরুর হাট বাংলা বাজারে প্রচুর গরু বেচাকেনা হয়। করোনার কারণে ঈদের আগমূহুত্বে বাজার মিলবে কিনা এমন শঙ্কায় এখন বাজারে মানুষের ভিড় একটু বেড়েছে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে ক্রেতা-বিক্রেতা সবার জন্যই মঙ্গল।
ওই বাজারের (সাপ্তাহিক নিয়মিত পশুরহাটসহ বাজার) ইজারাদার ফারুক মাঝি বলেন, এ পশুহাটে নিয়মিত ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, মুখে মাস্ক পরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও করোনা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কথা বললেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হলে বাজার ইজারাদারদের পথে বসতে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা বলেন, গত বছর কোরবানির সময় সদর উপজেলায় ২৭টি অস্থায়ী পশুরহাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ বছর এখনো পশুরহাট বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় ওই বাজারগুলো ইজারা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে পশুরহাট বসানোর সংবাদ পেয়ে বাংলা বাজারে পশু বেচাকেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০