ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্লুকিয়া গ্রাম থেকে আল্লামা মাহমুদুল হাসান গুনবীর নামে এক মুফতিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকদারীরা তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মুফতির পরিবারের সদস্যরা। গত চারদিনে থানাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ করেও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন নিখোঁজ মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীরের স্ত্রী শারাবান তাহুরা নাজমিন।
নিখোঁজ মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীরের স্ত্রী শারাবান তাহুরা নাজমিন বলেন, গত মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) সকালে তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্লুাকিয়া গ্রামের ওস্তাদ ক্বারী ইউছুফের সাথে দেখা করতে আসেন। এ সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক ওস্তাদ ক্বারী ইউছুফের ঘর থেকে তাঁকে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে থানাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ করে মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর কোন সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তার।
মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর স্ত্রী শারাবান তাহুরা নাজমিনসহ তাঁর তিন সন্তান রয়েছে।
মুফতি মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর বোন জোৎনা বেগম, শশুর মাওলানা ইকবাল, শ্যালক আবদুল্যাহ আল মোরশেদ, বড় ভাই মো. তাহের উপস্থিত ছিলেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি থানায় এসেছেন। তাদের লিখিত সাধারণ ডায়েরীতে সুনিদিষ্ট কোন তথ্য না থাকায় সাধারণ ডায়েরী অন্তভূক্ত করা হয়নি। সঠিক তথ্য উপস্থাপন করলে অবশ্যই তাদের সাধারণ ডায়েরী গ্রহণ করা হবে।

- প্রচ্ছদ
- জাতীয়
- নোয়াখালী
-
Featured
-
Featured
-
Featured
-
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী
- মতামত
- আরও
Select Page