ষ্টাফ রিপোর্টার : কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে নোয়াখালীর মাইজদী শহরে সকাল থেকেই তৎপর জেলা প্রশাসন। বিনাপ্রয়োজনে কেউ বের হলেই চেকপোস্টে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িও জেলার বাইরে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
এমন সময় অটোরিকশায় এলেন দুই যুবক। তাদেরও জেরার মুখে পড়তে হয়। হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান তারা। তবে সন্দেহ হলে প্রশাসনের চাপে ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে বিয়ের শেরওয়ানি ও পাগড়ি।
রোববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জেলা স্কুলের সামনে। এ সময় লকডাউন বাস্তবায়নে চেকপোস্ট বসিয়ে কাজ করছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আসাদুজ্জামান রনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনি বলেন, অটোরিকশায় করে কোথাও যাচ্ছিলেন দুই যুবক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিগন্যাল দেওয়া হলে অটোরিকশা থামানো হয়। জিজ্ঞেস করলাম, এ সময় কোথায় যাচ্ছেন? বললেন, হাসপাতালে যাচ্ছি। সঙ্গে থাকা ব্যাগ দেখে একটু খটকা লাগায় বললাম, ব্যাগটা একটু দেখব। বাধ্য হয়ে লোকটি ব্যাগটা এগিয়ে দিলেন। আর এতে ছিল বিয়ের শেরওয়ানি আর পাগড়ি। এরপর জিজ্ঞেস করলাম, হাসপাতালে কি আজকাল বিয়েও হয়? লোকটি স্বীকার করে বললেন, মিথ্যা বলেছি। তবে তাকে সতর্ক করে বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যারা প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। মামলার মুখমুখি হতে হবে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে ।