ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীর চাটখিলে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে তার গৃহশিক্ষককের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রী স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক ফারাবী আহম্মেদ ফয়েজ (২৫) উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে ভিকটিমের বাবার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভিকটিমের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গৃহশিক্ষক ফারাবী গত দুই বছর যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত কিছু দিন আগে তাদেরকে এলাকাবাসী আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে গ্রাম্য শালিসে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করার শর্তে অভিযুক্ত ফারাবীকে কৌশলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার বাবা। পরবর্তীতে ফারাবীর বাবা জানায় যত টাকা যাবে এই মেয়েকে তার ছেলে বিয়ে করবে না। এরপর অসহায় পরিবারটি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারে তাৎক্ষণিক মাঠে নামে পুলিশ। আটককৃত আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরের দিকে নোয়াখালীর চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।