ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় আইনের লোক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৭ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নে মানিকপুর গ্রামের হুমায়ন কবিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, হুমায়ন কবির (৪৮) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫)।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গৃহকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, ‘ভোরে ১০-১২ জন অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসী আইনের লোক পরিচয়ে আমার ঘরে ধাক্কা দেয়। এরপর সাত জন অস্ত্রধারী ঘরে ঢুকে আমাকে কোপাতে থাকে। স্ত্রী শেফালী বেগম আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তখন আমি রড নিয়ে তাদের প্রতিহত করতে গেলে হামলাকারীরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একজনকে গুলির নির্দেশ দিলে আমি ভয়ে রড ফেলে দেই।’ এরপর সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী হুমায়ন কবির বলেন, ‘চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার খিরিহর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ওমান প্রবাসী আকরাম হোসেন আমার ভাগ্নে। মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৬ মাস আগে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাট্রা ইউনিয়নের বাক্সপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে সাথী আক্তারকে (১৯) মোবাইল ফোনে বিয়ে করে আকরাম। ওই মেয়ে হাজীগঞ্জের একটি মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী ছিলো। করোনাকালীন সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেলে সাথী বাড়িতে আসে। প্রেম করে বিয়ে করার কারণে তার মা-বাবা তাকে বাড়িতে জায়গা দেয়নি। এরপর শ্বশুর বাড়িতে গেলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিয়ে মেনে না নিয়ে তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।’
আহত হুমায়ন কবির আরেও বলেন, ‘খবর পেয়ে ভাগ্নের বউ সাথী আক্তারকে দেড় মাস আগে আমার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাথী আক্তারের বড় বোন গত রোববার (১ আগস্ট) রাতে আমাকে মোবাইলে হুমকি দেয়। সাথীর বড় বোনই সন্ত্রাসী পাঠিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।