ষ্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালী জেলা শহরে আওয়ামী লীগের ত্রি-মূখী সংঘর্ষের সময় অস্ত্র প্রদর্মন করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। গত রোববার (৫ সেপ্টম্বর) বিকালে অস্ত্র প্রদর্শনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার পুলিশের বরাত দিয়ে গ্রেফতারকৃত ৪জনকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়।
গ্রেফতারকৃতদের শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারী হিসেবে সংবাদ মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে একটি পক্ষ রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন।
শুক্রবার বিকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, পুলিশ যে ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আমিন ও বেগমগঞ্জ উপজেলারপৌর হাজিপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের আবুল হায়াত রায়হান ওরপে খালাসি রায়হান হলো নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী। তারা গত ৬ সেপ্টম্বর জেলা শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়। যার ছবি ও ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
অপরদিকে গ্রেফতারকৃত সদর উপজেলার মিজান মুহুরির ছেলে মো. রাফেজ জেলা ছাত্র লীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে। সদর উপজেলার পশ্চিম শুল্লুকিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মো. ইউনূস কালাদরাপ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে।
কিন্তু প্রকাশিত খবরে পুলিশের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত ৪জন শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারী। শাহীন বলেন, এটা সম্পন্ন মিথ্যাচার। সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে আমার কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। ইউনুস এবং রাফেজ আমার ব্যক্তিগত কর্মী নয়, তারা দুইজনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত ও সক্রিয় কর্মী। সংবাদটি প্রকাশ হওয়ায় আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। একটি পক্ষ এটাকে পূঁিজ করে রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করেন শিহাব উদ্দিন শাহীন।