ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র হয়ে মাঠে আছে বিএনপির প্রার্থীরা । আর আওয়ামী লীগের নৌকার বিরুদ্ধে প্রত্যেক ইউনিয়নে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি । ইতিমধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন ।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। উপজেলার নরোত্তমপুর ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ইভিএমে এবং বাকি ১২টি ইউপিতে ব্যালট পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলছে। ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ।
১ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৮ জন নারী ও ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩১ জন পুরুষসহ মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৭৯ জন ভোটার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ।
নির্বাচন অফিস জানায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে জিরতলী ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ১৪টিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে । যার মধ্যে আলাইয়পুর ইউপিতে ৪জন, দূর্গাপুর ৫জন, গোপালপুর ৬ জন, আমান উল্যাপুর ৭ জন, রাজগঞ্জ ৩ জন, ছয়ানি ৪জন, শরীফপুর ৭জন, বেগমগঞ্জ ৪ জন, একলাশপুর ৪ জন, হাজীপুর ৩ জন, কাদিরপুর ৩ জন, নরোত্তমপুর ৬ জন, রসুলপুর ৫ জন ও কুতুবপুর ইউনিয়নে ৫ জনসহ মোট ৬৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন এসআই, ৪ জন কনস্টেবল, অস্ত্রসহ ১ জন আনসার, ১ জন এপিবি, অস্ত্রছাড়া ৮ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলা আনসার দায়িত্বে রয়েছেন ।
প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি মোবাইল টিম, ১টি স্ট্রাইকিং টিম, অতি ঝুঁকপূর্ণ ৭টি ইউনিয়নের জন্য স্পেশাল ৭টি স্ট্রাইকিং টিম, ডিবি পুলিশ, সাদা পোষাকের গোয়েন্দা, ৭ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৫ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন ।
১৪টি ইউনিয়নে মোট ১৩২টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে নরোত্তমপুর ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে ।
জানা গেছে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে না নামলেও কয়েকটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্র ভোট করছে বিএনপি । আর নৌকা প্রতীকের বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রত্যেক ইউনিয়নে একাধিক করে প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের । এতে সংঘাত-সংঘর্ষ আর সহিংতার শংকায় আতঙ্কে সাধারণ ভোটাররা । মাঠের অবস্থা যাই হোক, নির্বাচিত হওয়ার আশা সব প্রার্থীরই ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহাত তানভির চৌধুরী বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন থেকে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে । উপজেলাকে ৩টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে ১ জন পুলিশ পরিদর্শক নেতৃত্ব দিচ্ছেন । এছাড়া মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, স্পেশাল স্ট্রাইকিং টিম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, সাদা পোষাকের পুলিশ দায়িত্বে রয়েছেন ।

- প্রচ্ছদ
- জাতীয়
- নোয়াখালী
-
Featured
-
Featured
-
Featured
-
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী
- মতামত
- আরও
Select Page