ষ্টাফরিপোর্টার : নোয়াখালীর সদর উপজেলায় একটি মাদরাসা ভবনের চারতলা থেকে এক ছাত্রকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে । পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ ছাত্রকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম জিহাদ (১৫) সদর উপজেলা মুরাদপুর গ্রামের মো. জিলনের ছেলে এবং ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ।
সোমবার বিকেলে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।
এর আগে গত শনিবার ভোর ৪টার দিকে মাইজদী জহুরুল হক মিয়ার গ্যারেজের জান্নাত প্লাজার মাদরাসাতুস সুফফাহ আল ইসলামিয়ার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে । এদিকে মাদরাসার একটি সিসি ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার রাত ৪টার পরে ওই মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন ওই ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে উঠান । এরপর তার রুমের একটি বিছানা নিয়ে যেতে দেখা যায় । পরে ঐ শিক্ষকের অফিস অর্থাৎ থাকার রুমের জানালা দিয়ে ছাত্রটি নিচে পড়ে । অপরদিকে তৃতীয়তলা ভবনের একটি সিসি ফুটেজে দেখা যায়, ঐ ছাত্রটি নিচে পড়ার কিছুক্ষণ পর মুখোশ পরা চাদর দিয়ে ঢাকা এক ব্যক্তি ছাত্রটিকে নিয়ে টানাহেঁচড়ার চেষ্টা করছে, একবার চলে যায়, একবার আসে । ছাত্রটির স্বজনদের অভিযোগ, হয়তো অভ্যন্তরীণ কোনো বিরোধ অথবা শিক্ষকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটতে পারে । এ ঘটনায় তারা সবগুলো সিসি ফুটেজ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্বাস কামাল বলেন, ষষ্ঠ তলা থেকে আসা একটি ব্যানারের রশির সাহায্যে লাফ দিয়ে ছাত্রটি পড়ে যায় । বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে ।
সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, অভিযোগের আলোকে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে । সিসি ফুটেজগুলো পর্যালোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

- প্রচ্ছদ
- জাতীয়
- নোয়াখালী
-
Featured
-
Featured
-
Featured
-
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী
- মতামত
- আরও
Select Page