ষ্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় এক উপপরিদর্শক (এসআই) জাবেদ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জাবেদ (৩৬) সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। সে চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফ এ সংযুক্ত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মনতরাব ফরাজি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আতœহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চট্রগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে সুধারাম থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে হালিশহর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য,২০১৪ সালে পারিবারিক ভাবে সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলের সাথে বিয়ে হয় কলির। তারা স্বামী-স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। তাঁর স্বামী বদ মেজাজী হওয়ায় কারণে-অকারণে স্ত্রীকে মারধর করতএবং কলি সুধারাম থানার কাদিরহানিফের বাসিন্দা। । পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের দুই আড়াই বছর পর থেকে জাবেদ অন্যকারো সঙ্গে পরকিয়া জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া তার স্বামীর সাথে তার বন্ধু বাদশার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সে তার পিতাকে জানায় এর পর থেকে কলিকে প্রায় সময় মারধর করতো। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক বৈঠকও হয়েছে। স্বামীর পরকীয়া ও ইয়াবাসহ অবৈধ উপার্যনের বিষয়ে স্ত্রী নিষেধ করলে এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এরে জের ধরে (২৫ মার্চ) গত শুক্রবার দুপুরে চট্রগ্রাম হালি শহরের ভাড়া বাসায় সে ও তার বন্ধু বাদশা মিলে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যা ও সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করে এবং নিহতের স্বজনদের কাছে খবর পাঠায়
। এ বিষয়ে স্থানীয় হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দিয়েছে কলির বাবা আহছান উল্যাহ্। মানবন্ধনে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার দাবীতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ ঘটনায় ২৭ মার্চ সকালে নিহতের পিতা আহছান উল্যাহ বাদী হয়ে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার দায়ে তাঁর স্বামী ও তাঁর বন্ধুসহ ৫ জনকে আসামি করে চট্রগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন।