ষ্টাফ রিপোর্টার: এজেন্টদের মারধর, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেওয়া, প্রার্থীকে কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা, ভোট ডাকাতি ও হামলাসহ বেশ কিছু অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মো. কামাল উদ্দিন মিয়াজী (আনারস) ও মো. আবুল খায়ের (রজনীগন্ধা) এবং হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আমিরুল ইসলাম শামীম (ঢোল) ও হরণী ইউনিয়নের মুশফিকুর রহমান (ঘোড়া)। তাঁরা চারজনই চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ১২ টায় হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান তাঁর নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। অপর দিকে দুপুর ২টায় চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম হাতিয়ার পার্শ্ববর্তী উপজেলা সুবর্র্ণচর উপজেলার মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে, বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১০টায় সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন মিয়াজী (আনারস) ও বেলা ১১টায় মো. আবুল খায়ের (রজনীগন্ধা) সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এসময় মো. কামাল উদ্দিন মিয়াজী বলেন, আমি প্রার্থী হয়েও বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। কেন্দ্রে আমার কোনো এজেন্ট নেই। নৌকার লোকজন আমার ভোটারদেরকে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কেন্দ্রের মধ্যে প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগের লোকজন নিজেরাই ইভিএমে নৌকায় টিপ দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় আমি প্রহসনের এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
অন্যদিকে মো. আবুল খায়ের বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নৌকার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার মালিকানাধীন সেবারহাট মেডিকেল সেন্টারে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন প্রকাশ্যে বুথে দাঁড়িয়ে নৌকায় টিপ মারছে। ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের আবেদন করেছি।
অভিযোগের বিষয়টি ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আলম ভুইয়া রিগান অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের দায়িত্ব কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ দেখা। আর কেন্দ্রের ভেতরটা দেখবে নির্বাচন কমিশন। ভোট বর্জনের মতো পরিবেশ হয়নি বলেও দাবি করেন এসপি।