ষ্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি রোধসহ ১১ দফা দাবিতে নোয়াখালীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবীরা। এসময় সময় রেল মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিঝুম এক্সপ্রেস চালুসহ জেলাবাসীর পক্ষে আরো পাাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। সোমবার (১৮ জুলাই) জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বক্তারা বলেন, রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির দাবি গুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করছি। আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।বক্তারা বলেন, আমাদের নোয়াখালীর জন্য আরও পাঁচ দফা দাবি রয়েছে। সেগুলো হলো- রেলমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেওয়া আন্তঃনগর ট্রেন ‘নিঝুম এক্সপ্রেস’ চালু করা।
মেইল ট্রেন নোয়াখালী এক্সপ্রেস, ঢাকা এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যা বৃদ্ধি করা। উপকূল এক্সপ্রেস নোয়াখালীতে রাত প্রতিদিন ৯ টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও প্রায় সেটি রাত ১১ টার পর পৌঁছায় ফলে স্টেশন থেকে দূরবর্তী এলাকার যাত্রীরা বিপাকে পড়েন, তাই উপকূল এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সঠিক সময়ে ছাড়ার ব্যবস্থা কার। উপকূল এক্সপ্রেসকে চৌমুহনী স্টেশনে ৫-৭ মিনিট যাত্রাবিরতি দিতে হবে। শিল্পনগরী চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে নোয়াখালীর রেলপথকে যুক্ত করতে হবে।
সচেতন নোয়াখালীবাসী সংগঠনের আহ্বায়ক শাহেদ মুনিম ফয়সালের সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ হারুন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বিষাদ, নিরাপদ নেয়াাখালী চাই সংগঠনের চেয়াারম্যান সাইফুর রহমান রাসেল, রয়েল ডিস্ট্রিক্ট নোয়াখালীর এডমিন কাদের রাসেল, এমএইচবিও এর সভাপতি ফাহিদা সুলতানা, আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশনের সভাপতি পারভেজ মোল্লা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম প্রমুখ। চৌমুহনী জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক আলী আকবর বলেন, বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন হয়েছে। তারা যেনো নিরাপদভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারেন সেজন্য আমরাও সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।