তানজিনা আক্তার
২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা একটি বড় ইস্যু হয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্য। মানবিকতার কারণে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিল কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে রোহিঙ্গাদের অনেকেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এখানে অস্বাস্থ্যকর বলতে; চুরি, ছিনতাই,খুন, ইয়াবা ব্যবসা, জমি দখল ইত্যাদি। যা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার জন্য ক্রমাগত আলোচনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনো সফলতার মুখ দেখছেন না। ইউনেস্কো, ইউএনও ও অন্যান্য বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বতোভাবে সাহায্য করছেন, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান শিক্ষা ইত্যাদি পর্যায়ে। এখানে বাংলাদেশর এনজিও গুলোও সর্বতোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও এনজিও গুলোর সাথে বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই চিকিৎসা,স্বাস্থ্য,শিক্ষা, বাসস্থান,খাদ্য,পারিবারিক,সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ইত্যাদি কর্মে ভলান্টিয়ার সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকেই চাকরি করেও সাহায্য করছেন। প্রত্যেকেই খুব আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক কষ্ট যেমন; নিজ দেশ ত্যাগ করার কষ্ট, বাড়িঘর ও সম্পদ হারানোর বেদনা অনেকটা লাঘব করতে সাহায্য করছে।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থানে তাদের নিরাপত্তা মূলত জানমালের নিরাপত্তা রয়েছে। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট সচেতন। জনগণও চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ। যে দেশ তার নিজের জনগনের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কঠিন পথ পেরুচ্ছে। দেশের জনগণের চলার পথের কষ্ট দূর করার জন্য সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে রোহিঙ্গা সমস্যা একটি বিরাট বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।
রোহিঙ্গাদেকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার কুটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু কার্যকর হওয়া ত দূরের কথা তা আলোচনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এহেন প্রেক্ষিতে বলা যায় যে কানাডা, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশ রিফিউজি নেয় তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তাব তুলে ধরতে পারেন। এতে কোনো কোনো দেশ হয়তো কিছু রোহিঙ্গাদের কে রিফিউজি হিসেবে গ্রহণ করতে আগ্রহী হতে পারে। যা রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় কিছুটা ভূমিকা রাখবে।

Select Page