ষ্টাফরিপোর্টার
নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে চুরি করতে গিয়ে ধর্ষণের পর এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামির বরাতে পুলিশ বলছে, চুরি করতে গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তাদের চিনে ফেলায় গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম ।
প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আসামিরা চুরি, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে দুই আসামি দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরনলুয়া গ্রামের মো.জাকের হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও একই গ্রামের মো.নুরউদ্দিন বিটুর ছেলে মো.নিজাম উদ্দিন শান্ত (২৫)। তারা দুইজনই পেশায় রিকশা চালক।
পুলিশ সুপার জানায়, নিহতের স্বামী কবিরহাট উপজেলায় একটি নার্সারিতে চাকরি করেন। সেই সুবাধে তিনি সেখানে থাকেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ওই নারী রাতে বাড়িতে একা ছিলেন। এসময় আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার বসত ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে। ভিকটিম বিষয়টি টের পেলে তারা গলায় ছুরি ধরে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, একটি নাকের ফুল এবং রুপার এক জোড়া পায়ের নূপুর কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ তাদের চিনে ফেলায় আসামিরা তার হাত-পা বেঁধে গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, ভোরে স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারী মারা যান। পরে নিহতের স্বামী নুরুল আমিন সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন।
৩০ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখাতে মামলাটি তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়। গত সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।